শিল্পী সাফিকা নাসরিন মিমির জন্ম রাজশাহীতে। মা তৌফা চৌধুরী, বাবা প্রয়াত মো. সফিউর রহমান চৌধুরী। মিমি মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, পড়াশোনাও রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর। তবে সব ধরনের গান করতে ভালোবাসেন তিনি। শৈশবেই সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয় তাঁর।
১৯৮৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া মিমি একই বছরে পঞ্চম হয়েছিলেন নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়ও। রাজশাহীতে ওস্তাদ রবিউল হোসেইনের কাছে প্রায় বারো বছর সংগীতের তালিম নেন তিনি। এরপর সঙ্গীতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর করেন শান্তিনিকেতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে অধ্যয়নের সময় রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর দীক্ষা নিয়েছেন কনিকা বন্দোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখার্জি, অরূপ রতন বন্দোপাধ্যায়, গোরা সর্বাধিকারী, মলয় সেন, ইন্দ্রানী সেন প্রমুখের কাছে। সেই সাথে ক্লাসিক্যাল শেখেন মোহন সিংয়ের কাছে।
এরপর ঢাকায় ছায়ানটে পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর। সেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও রবীন্দ্র গবেষক সনজীদা খাতুন, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হক ও লাইসা আহমেদ লিসার কাছে। ক্লাসিক্যাল শিখেছেন ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছে।
ইতোমধ্যে প্রায় ১৫-২০টি মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে মিমির। কাজ চলছে আরও ১০টি গানের। স্নেহাশীষ ঘোষের কথায় ও নাজির মাহমুদের সুরে শিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে মিমির ডুয়েট ‘মিথ্যা বলতে পারি না’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়া তাঁর কণ্ঠে ‘কাল সারারাত’, ‘প্রেম’ ইত্যাদি গানগুলোও শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। বেশ কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত ও অন্যান্য জনপ্রিয় গানও কভার করেছেন মিমি।
বেতার ও টিভিতে নিয়মিত গান পরিবেশন করে থাকেন তিনি। ভালো লাগা থেকেই গানের পাশাপাশি ভিডিও নির্মাণেও নির্দেশনা দেন তিনি। একটা গীতিকবিতার কাজ করেছেন, যেখানে তিনি নিজে গেয়েছেন রবীন্দ্রনাথের গান, আবৃত্তি করেছেন শিমুল মোস্তাফা এবং সরোদ বাজিয়েছেন তানিম হায়াত খান। মিমির ভাষ্যে, এটি একটি ভিন্নধর্মী কাজ। বর্তমানে গান নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে শিল্পীর।
মিমির পছন্দের শিল্পীরা হলেন লতা মঙ্গেশকর, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, কনিকা বন্দোপাধ্যায়, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, কিশোর কুমার, এন্ড্রু কিশোর, সৈয়দ আবুল হাদী, অরিজিত সিং প্রমুখ।
যত দিন সম্ভব গান গেয়ে যাওয়ার ইচ্ছা মিমির। পাশাপাশি নিজের সোশ্যাল চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করছেন তিনি।