দিনাজপুরের মেয়ে পম্পি সরকার। প্রতিভাবান এই সঙ্গীত শিল্পীর জন্ম দিনাজপুরের বীরগঞ্জে, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে। মৃদুল কান্তি দেব এবং রেবা দেবের সুযোগ্য সন্তান পম্পি । এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। পারিবারিক গানের আবহে বড় হওয়া পম্পির গানের শুরু ছোটবেলা থেকেই ।
বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং খোলাহাটির ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী পম্পি বর্তমানে পেশাগত জীবনে একজন গানের শিক্ষিকা। বাচ্চাদের গান শেখাতে ভীষন ভালোবাসেন তিনি। মূলত আধুনিক ও নজরুল সঙ্গীত তার ভালোবাসার জায়গা।
এই সুকন্ঠী শিল্পীর আদর্শ মানুষ তার বাবা। সঙ্গীতে অনুপ্রেরণাও পেয়েছেন বাবার কাছ থেকেই। সঙ্গীতে আদর্শ শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। গানের হাতেখড়ি অর্চনা রাণী রায়ের কাছে। এরপর নজরুল সঙ্গীত, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও গজলে পলাশ দাস, হাসান আলী শাহ্, মোকসেদ আলী, ফরহাদ আহমেদ, ড. শহিদুল ইসলাম খান ও রেখা সাহার কাছে তালিম নেন।
সঙ্গীতপ্রেমি পম্পির সঙ্গীতজীবনে বাধা এসেছে বহুবার কিন্তু পারিবারিকভাবে পূর্ণ সহযোগিতা তাকে বারবারই ফিরিয়ে এনেছে সঙ্গীতে। দাম্পত্যসঙ্গী তুলীপ সরকার ও একমাত্র সন্তান নন্দিনী সরকারের অনুপ্রেরনা, উৎসাহ আর সাহস তার জন্য ছিল আশীর্বাদের মতো।
এই শিল্পীর প্রথম মৌলিক গান ‘হয়নি বলা তোমায় ভালোবাসি’। প্রথম গানের এ্যালবামের কাজ চলছে পম্পির। তার সাম্প্রতিক কাজ নজরুল সঙ্গীত নিয়ে। বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় মৌলিক গান আছে তার। পম্পি সরকার অফিসিয়াল নামে ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত তার মৌলিক গানগুলো শুনতে পান দর্শকশ্রোতারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা "প্রিয় কন্ঠ-২০২১" এ ফাইনালিস্ট হয়েছিলেন পম্পি সরকার। রংপুর বেতারে নজরুল সঙ্গীত ও আধুনিক গানের তালিকাভুক্ত শিল্পী তিনি।
গানই পম্পির ধ্যান জ্ঞান, গান দিয়েই জয় করতে চান সবার হৃদয়।
সঙ্গীত জগতে সাফল্যের দীপ্তি ছড়িয়ে তিনি আরো এগিয়ে যাবেন, বাংলা গানকে সমাদৃত করবেন বিশ্ব দরবারে এই কামনা ’আজ গানের দিন’ পরিবারের।