আরমান খান একাধারে একজন সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হল তিনি বাংলাদেশের বিশিষ্ট সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এবং শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাতবার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত শ্রদ্ধেয় আলম খানের ছেলে। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় জন্ম নেয়া আরমান খানের মা হাবিবুন্নেছা গুলবানু খান। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আরমান বড়। স্ত্রী এমি খান, এক ছেলে আরহাম খান ও এক মেয়ে আনতারা রাইসা খান। আরমান খান ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে বাবা আলম খানের সাথে চলচ্চিত্রের গানে কিবোর্ড বাজানোর মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে পদার্পণ করেন। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুন রচিত বাংলাদেশের প্রথম প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটক 'জোয়ার ভাটা'র আবহ সঙ্গীতের মাধ্যমে নাটকের আবহসংগীত করেছেন প্রায় ১,২০০-র মতো। আদর্শ মানুষ বাবা আলম খানই আরমান খানের প্রথম সঙ্গীতগুরু। তবে সঙ্গীতে তাঁর আদর্শ শিল্পী বাংলাদেশের পপ সম্রাট ও দি রক গুরু খ্যাত চাচা আজম খান। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের এই ছাত্র গানের এ্যালবাম করেছেন ২৬টি। তার মধ্যে ‘দোকান’, ‘তিনসত্যি’, ‘লাল বন্ধু নীল বন্ধু’, ‘ঘটক’, ‘দোস্ত দুশমন’ অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বর্তমানে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফে জি এম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আরমান খান। পাশাপাশি সঙ্গীতের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ খ্রিস্টাব্দে 'বন্ধু' শিরোনামে গানের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি কন্ঠও দেন এই শিল্পী। তিনি ২০০৩ ও ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে সি যে এফ বি এওয়ার্ড পান এবং ২০০২ ও ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে জয় করেন বি সি আর এ এওয়ার্ড। আরমান খানের প্রথম লেখা ও সুর করা মৌলিক গান ‘এক ঘরের কারনে, যে ঘর হারালাম’, গেয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্র কিশোর। তাঁর সুর ও সঙ্গীতে প্রথম গানের এ্যালবাম ‘দোকান’। প্রথম নাটকের জন্য গান ‘তবুও ভালোবাসি’, গেয়েছেন শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।