বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে অনেক নামের মাঝে একটি শ্রোতাপ্রিয় নাম মেজবা বাপ্পী। ২০১২ সালে রিয়েলিটি শো “চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ” প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিচিতি পান এই তরুণ কণ্ঠশিল্পী। ২০১৮ সালে কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার ‘সা রে গা মা পা’ তে অংশ নিয়ে সংগীতপ্রেমীদের নজর কাড়েন তিনি।
বগুড়ার সন্তান মেজবার জন্ম ১৯৯৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। বাবা এ, বি, এম টিপু সুলতান ও মা মাবিয়া সুলতানা। তিন ভাই-এর মধ্যে মেজবা বাপ্পি বড়। বাপ্পির জীবনে আদর্শ মানুষ তার বাবা।
এই শিল্পীর গানে হাতেখড়ি মাত্র ৬ বছর বয়সে, মায়ের হাত ধরে । এরপর তালিম নিয়েছেন রনজু লাল সরকারের কাছে। পরবর্তীতে অসিত দে-এর কাছে বেশ কিছু দিন তালিম নিয়েছেন। বর্তমানে আবিদ হোসেন-এর কাছে পিয়ানো এবং ভোকাল ট্রেইনিং করছেন মেজবা।
১৫-১৬ বছর বয়সে মায়ের কাছে গিটার কেনার বায়না ধরেছিলেন মেজবা বাপ্পি। সেই গিটার দিয়েই বন্ধুদের নিয়ে বগুড়া শহরে শুরু করেন তার সঙ্গীতচর্চা। বিভিন্ন ব্যান্ড দলের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন সে সময়। সেই কিশোর আজ দেশের অন্যতম প্রতিভাবান শিল্পীর তালিকায় উজ্জ্বল স্থান দখল করে নিয়েছেন। সঙ্গীতে তার আদর্শ সৈয়দ আব্দুল হাদী, মাহমুদুন্নবী, কবির সুমন, অঞ্জন দত্ত প্রমুখ।
বগুড়া পুলিশ লাইন ও স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র মেজবা বাপ্পির প্রথম মৌলিক গান “রাগ ভাঙ্গানোর গান”। গানটি তারই লেখা ও সুর করা। “আর কোন অপেক্ষা নেই” নাটকে প্রথম নাটকের গান ‘মনপ্রলাপ’। সিনেমাতেও প্লেব্যাক করেছেন এই তরুণ। সৈকত নাসির পরিচালিত তালাশ সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন “সেফটিপিন” শিরোনামে। তার প্রথম গানের এ্যালবাম “কথাগুলো গান হোক”।
কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্টাডিজ-এর ছাত্র বাপ্পী বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পী। বর্তমানে স্টেজ শো নিয়ে সময়টা ভালোই যাচ্ছে এই তরুণের। তার গাওয়া “রাগ কমলে ফোন করিস”, 'চলো পাল্টে যাই', 'প্রিয়তমা', 'তোমাকে তোমাকে চাই', 'একা', 'বাড়ির কাছে আরশি নগর', এবং ‘ও রাসেল - বেঁচে থাকা হলো না তোমার' – গানগুলো ইতোমধ্যে বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।
পেশায় চাকরিজীবী হলেও গানপাগল বাপ্পী চাকরি ও গানের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে চাকরি ছেড়ে গানকেই বেছে নিয়েছেন। এখন গানই তার নেশা এবং পেশা। এই শিল্পীর দাম্পত্যসঙ্গী সিলভিয়া পারভেজ।
গান নিয়েই বাপ্পীর সকল ধ্যান-গ্যান, গানকে নিয়ে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে যেতে চান তিনি।
মেজবা বাপ্পি তার স্বপ্নের পথ ধরে এগিয়ে চলুক অবিরাম, এই কামনা করে আজ গানের দিন পরিবার।