কথা বলতে শিখতে শিখতেই গানে হাতেখড়ি হয় তাঁর। মাত্র ২ বছর বয়সেই গান গাইতে পারেন, গানে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ৩ বছর বয়স থেকে। বলছি শিল্পী হোমায়েরা বশির এর কথা। গুণী শিল্পী বশির আহমেদ ও শিল্পী মীনা বশির এর সুযোগ্য উত্তরসূরী। মায়ের গর্ভে থেকেই যিনি আয়ত্ত করেন গানের রাগ, তখনই হয়তো জীবনের পথ নির্ধারিত হয়ে যায়, বড় হয়ে হবেন সংগীতশিল্পী।
পুরো পরিবার যখন গানের জগত মাতিয়ে বেড়ায়, তখন ছোট্ট হোমায়েরাকে আর নতুন করে পরিচিত হতে হয়নি সুরের সাথে। হাঁটাচলার সাথে সাথে গাইতে থাকেন গান। বাবা-মায়ের দেখানো পথে হাঁটেন নিজের মত করে। অল্প সময়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সংগীত জগতে। বর্তমানে পুরোদস্তুর শিল্পী তিনি, পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। ওসমানী স্মৃতি পুরস্কার, সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ সম্মাননা, বাংলাদেশ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন জুবলি অ্যাওয়ার্ড প্রমুখ।
বর্তমানে কাজ করছেন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও। নিজ হাতে লিখেছেন অসংখ্য গান, এর মধ্যে - 'আমি আকাশের দিকে চেয়ে আছি', 'এত স্মৃতি ভুলিবো কেমনে', 'ময়না আমার আয় ফিরে আয়' উল্ল্যেখযোগ্য। আর পছন্দের শিল্পী তালিকায় মা-বাবার পরেই রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
শিল্পী হোমায়েরা বশির সম্পন্ন করেছেন এম. কম.। গানের পাশাপাশি ছবি আঁকা, গান শোনা, আর রান্না করার মধ্য দিয়ে কাটে তাঁর অবসর।